দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১(২০২২ এসএসসি)

দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১(২০২২ এসএসসি)

মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১ প্রকাশ করা হলো। এখানে তোমরা বিজ্ঞান বিভাগের ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেয়ে যাবে।

দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১


বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের এসাইনমেন্ট লিখতে তোমাদের অনেক লিখতে হয়। আসলে এই বিষয়টায় এরকম। তোমাদের আজকের ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দশম শ্রেণি লিখতে হয়তো একটু সময় লাগবে। তোমরা প্রশ্নগুলো পড়লেই বুঝতে পারবে উত্তর আসলে ছোট করে লেখার কোনো সুযোগ নাই। 

আরো পড়ুনঃ

{tocify} $title={Table of Contents}

২য় সপ্তাহের ১০ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট লেখার শুরু করার আগে নিচে থেকে প্রশ্নগুলো একবার হলেও চোঁখ বুলিয়ে নাও। প্রশ্ন না পড়ে উত্তর লিখলে ভূল হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তাছাড়া প্রশ্ন না দেখে উত্তর লিখলে তোমরা বুঝতে পারবেনা তোমার উত্তর প্রশ্ন অনুযায়ী হচ্ছে কিনা। 

আমি যাচাই করে দেখেছি অনেক ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যনেলে প্রশ্নের সাথে সামন্জস্য না রেখেই উত্তর দেওয়া হয়। তোমরা এগুলো এড়িয়ে চলবে। বিডিপ্রাইমারি সাইটের সাথে থাকবে।

দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন

ক্রমঃ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ১

এসাইনমেন্টঃ তোমার এলাকায় বসবাসরত ষাটোর্ধ তোমার দাদা বা নানার কাছে তুমি ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারলো যে শুরু হলে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গঠিত মুজিবনগর সরকার যুদ্ধ পরিচালনায় গুরুতুপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাজনৈতিক দলসহ ভূমিকা মূল্যায়ন করে নির্দেশনা অনুসরণে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন কর। 

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা করতে পারবে । 

মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র পেশাজীবী নারী, সাধারণ জনগণের ভূমিকা মূল্যায়ন করতে পারবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করবে। 

নির্দেশনা/সংকেত/ধাপ/পরিধিঃ

  • মুজিবনগর  সরকারের গণ্ঠন ও কার্যক্রম বর্ণনা 
  • মুক্তিযুদ্ধে জনগণ ও পেশাজীবীদের ভূমিকা ব্যাখ্যা । 
  • স্বাধীনতা অর্জনে তৎকালীন ব্যক্তিদের অবদান মূল্যায়ন।


দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন
দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রশ্ন


দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২য় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট উত্তর


এসাইনমেন্ট শুরু

প্রতিবেদনের বিষয়ঃ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকার, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের ভূমিকা।

প্রতিবেদনের সময়ঃ সকাল দশটা।

প্রতিবেদনের তারিখঃ ২১ জুন ২০২১

প্রতিবেদক এর নাম ও ঠিকানাঃ তোমার নাম ও রোল নাম্বার লিখবে।

প্রতিবেদনের প্রাপকের নাম ও ঠিকানাঃ এই বিষয়ে শিক্ষকের নাম ও বিদ্যালয়ের নাম লিখবে।

ভূয়িকাঃ স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় সরকার গঠন হবে তা অকল্পনীয় ছিল পাকিস্তানের কাছে। কিন্তু দোর্দণ্ড প্রতাপে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাধীন বাংলাদেশ। কারণ গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার বা মুজিবনগর সরকার। এই অস্থায়ী সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই পরিকল্পিত কায়দায় মুক্তিবাহিনীকে সংগঠিত ও সমন্বয় সাধন করে পাকিসানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ পরিচালনা ও ষ্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আদায় করেছিল মুজিবনগর সরকার।

মুজিবনগর সরকার গঠন ও শপথের তারিধঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ অস্থায়ী সরকার। মুজিবনগর সরকার বা প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার নামেও পরিচিত) মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা বৈদ্যনাথতলায়( বর্তমানে মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান তখন পাকিস্থানের জেলে। তার অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মস্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন মেহেরপুর তৎকালীন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি বলেন, “সাংবাদিক বন্ধুগণ এবং উপস্থিত জনসাধারণের, আপনাদের সামনে আমার মস্ত্রিসভার প্রধানমন্ত্রীকে আপনাদের সামনে সর্বপ্রথমে উপস্থিত করছি। জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ"। সবাই হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানায়। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ এবং পরাষ্ট্রমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমেদ ছাড়াও তিনি অনুষ্ঠানে হাজির করেন ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবংএ এইচ এম কামরুজ্জামানকে।সশস্ত্র প্রধান হিসেবে কর্নেল আতাউল ওসমানীর নাম ঘোষণা করা হয়। গণপরিষদের স্পিকার ইউসুফ আলী তিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রীদের শপধ বাক্য পাঠ করান।

এছাড়াও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমরেড মনিসিং, জাতীয় কংগ্রেসের মনোরঞ্জন ধর, তাজউদ্দিন আহমেদ ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ এই ৬ জন সদস্য উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রমঃ

মুজিবনগর স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের কাঠামো নিম্নরূপ

  • 1. রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
  • 2. উপরাষ্ট্রপতি- সৈয়দ নজরুল ইসলাম
  • 3. প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ
  • 4. অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী
  • 5. স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী এ এইচ এম কামরুজ্জামান
  • 6. পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী- খন্দকার মোশতাক আহমেদ

১৯৭০-৭১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য দ্বারা মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা ছিল এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করে। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল এগুলো হচ্ছে প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, অর্থ শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়, সাধারণ প্রশাসন, স্বাস্থ্যও কল্যাণ বিভাগ ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ. পরিকল্পনা কমিশন .যুব ও অভ্যর্থনা শিবির নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ইত্যাদি। মুজিবনগর সরকার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ শহর যেমন কলকাতা, দিল্লি, লন্ডন, ওয়াশিংটন.নিউইর্ক,স্টকহোম ইত্যাদি স্থানে বাংলাদেশ সরকারের মিশন স্থাপন করে। সরকার বিচারপতি আবু. সাঈদ চৌধুরীকে বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দান করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নেতৃত্ব এবং জনসমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করেন। ১০ এপ্রিল সরকার চারটি সামরিক জনে বাংলাদেশকে ভাগ করেন এবং চারজন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করেন। ১১ ই এপ্রিল নির্ধারিত কারে ১২ টি সেক্টরে বিভক্ত করেন। এছাড়াও বেশকিছু সাব-সেক্টুর এবং তিনটি ফোর্স গঠিত হয়। এ সব বাহিনীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি
সেনা কর্মকর্তা, সেনাসদস্য 'পুলিশ,ইপি.আর, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যগণ যোগদান করেন। প্রতিটি সেক্টরে গেরিলা ও সাধারণ যোদ্ধা ছিল তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিফৌজ নামে ডাকা হতো। এই মুজিবনগর সরকারের অধীনে সুষ্ঠভাবে যুদ্ধ পরিচালনা ফলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। এটাই ছিল মুজিবনগর সরকারের কার্যক্রম।

মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ ও পেশাজীবীদের ভূমিকা 
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ নিরস্ত্র বাঙালির উপরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আক্রমণ চালালে বাঙালি ছাত্র জনতা পুলিশ এয়ার ফোর্স সাহসিকতার সাথে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। বিনা প্রতিরোধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালিরা ছাড় দেয়নি ।দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছে তারা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান তাদেরকে কখনোই এ জাতি ভুলবে না। মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ জনগণ পেশাজীবীদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের যাবার ও বুকিয়ে রাতে সাহায্য কররছে।তারা দেশের জন্য জীবন দিতে কনো পিছুপা হয়নি এরাই জাতির সত্যিকারের দেশ প্রেমিক সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে বেঙ্গল রেজিমেন্টের , ইপিআর, পুলিশ, আনসার, কৃষক, শ্রমিক ছাত্র ছাত্রীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে।সবাই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ফলে, এই যুদ্ধকে বলা হয় -গণযুদ্ধ"বা "জন যুদ্ধ"।


স্বাধীনতা অর্জনে তৎকালীন সরকারের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অবদান
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রধান রাজনৈতিক দল হল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের গতি প্রকৃর্তি নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচেহু ন্যাপ( ভাসানী), ন্যাপ(মোজাফফর). কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় কংগ্রেস ইত্যাদি। ও রাশিয়ার রাজনৈতিক দলের অবদান, চীনে পন্থী রাজনৈতিক দলের অবদান, ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের অবদান অঙ্বীকার করা যায় না। 

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা

মুক্তিযোদ্ধা মানে লাল সবুজের পতাকার সাথে সম্পর্কিত। এদের রক্তের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদের অবদান কখনোই এ জাতীয় ভুলবে না। তাদের অসীম সাহসিকতায় পাকিস্তানির আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত বাহিনীকে পরাজিত করতে পেরেছি। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অধ্য দিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়। হারাতে হয়েছে ৩০ লক্ষ বাঙালিকে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতকে। এ জাতি কখনোই এই অবদানকে ভুলতে পারে না।এটা কখনোই ভুলবার নয়।

এসাইনমেন্ট  শেষ

আরো পড়ুনঃ

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টেটি লিখতে তোমদের বইয়ের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। তোমরা ্‌ইচ্ছা করলে তোমাদের বই থেকে সাহায্য নিয়ে নিজের মনের মত করে লিখতে পারো, তাহলে স্যারের কাছে তা বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। 

তোমরা অবশ্যই এসাইনমেন্টের মূল্যায়ন রুব্রিক্স অংশটা ভালো করে পড়ে নিবে। কারণ ঐ অংশে বলা থাকে কোন কোন দিকে এসাইনমেন্ট লেখায় গুরুত্ব দিতে হবে। এবং কোন অংশ বাদ গেলে নম্বর কমে যাবে। তাই অবশ্যই প্রশ্নটা ভালো করে পড়ে নিবে। 

তোমদের সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর আমরা দিয়ে থাকি। তাই দেরি না করে আমাদের ফেজবুক পেলটিতে একটি লাইক দিয়ে রাখো। তাহলে তোমাকে আর কষ্ট করে এসাইনমেন্টের উত্তর খুজে বেড়াতে হবে েনা।


আমাদের ইউটিউব লিংক
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
assignment all class (6-9)📝📝

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন