তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণীতে বাংলা ব্যাকরণ সরাসরি প্রশ্ন হিসেবে না আসলেও এখানে ব্যাকরণ এর অনেক কিছুই আসে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণীতে ভালো করার জন্য বাংলা ব্যাকরণ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। তবে তৃতীয় চতুর্থ পঞ্চম শ্রেণির জন্য বাংলা ব্যাকরণ বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষার্থীরা ইচ্ছা করলে বাংলা ব্যাকরণ শিখে তাদের বাংলা জ্ঞানটাকে বাড়িয়ে নিতে পারে। আজকে আমরা বাংলা ব্যাকরণ তৃতীয় চতুর্থ এবং পঞ্চম শ্রেণীর জন্য কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
- বাংলা ব্যাকরণ
- ভাষা-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
- ধ্বনি-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
- বর্ণ-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
- শব্দ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- বাক্য-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- পদ প্রকরণ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- লিঙ্গ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- বচন-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সন্ধি
- তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাগধারা
বাংলা ব্যাকরণ এর নির্দিষ্ট বিষয়ে জানতে উপরের টেবিল অফ কন্টাক্ট থেকে বাছাই করে নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়টি পড়তে পারেন
বাংলা ব্যাকরণ
প্রতিটি ভাষাই শুদ্ধভাবে বুঝতে, পড়তে, বলতে ও লিখতে হলে কিছু নিয়মকানুন জানতে হয়। এ নিয়মকানুনগুলোকে একসাথে বলা হয় ব্যাকরণ। বাংলা ভাষা শেখার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন।
👉যে নিয়মগুলো জানলে শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষা বুঝতে, পড়তে, বলতে ও লিখতে পারা যায়, সেগুলোকে একত্রে বাংলা ব্যাকরণ বলা হয়।
ভাষা-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
আমি আমার মাকে ভালোবাসি।
উপরের বাক্যটিতে মায়ের প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের মনের এই ভাবটি কাউকে বোঝানোর জন্য আমরা তাকে কথাটি বলতে পারি বা লিখে বোঝাতে পারি। যেভাবেই তা করি না কেন উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু ধ্বনি বা চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
👉মানুষ তার মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য যেসব অর্থবোধক ধ্বনি বা চিহ্ন ব্যবহার করে তাকে ভাষা বলে। যেমনÑ বাংলা ভাষা, ইংরেজি ভাষা, আরবি ভাষা ইত্যাদি।
✅ মাতৃভাষা :
اَنَا اهِبُّ اُمِّىْ (আনা উহিব্বু উম্মি)
আমি আমার মাকে ভালোবাসি।
উপরে উল্লেখিত বাক্যগুলো লক্ষ কর। তিনটি বাক্যের অর্থ একই। প্রথম দুটি বাক্য আমরা সবাই ঠিকমতো বুঝতে নাও পারি। কিন্তু তৃতীয় বাক্যটি সহজেই বুঝতে পারছি। এর কারণ বাক্যটি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় লেখা হয়েছে।
মায়ের কাছ থেকে শিশু জন্মের পর যে ভাষা শেখে তা-ই তার মাতৃভাষা। আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। ইংরেজদের মাতৃভাষা ইংরেজি। আরবদের আরবি।
✅ ভাষার রূপ ও রীতি :
ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশের দুটি উপায় রয়েছে। একটি কথা বলে, আরেকটি লিখে।
কথা বলার ভাষাকে বলা হয় কথ্য ভাষা। আর লেখার ভাষাকে বলে লেখ্য ভাষা। নিচের ছকটি লক্ষ করি :
✅ আঞ্চলিক ভাষা ও প্রমিত ভাষা :
নিচের বাক্য দুটি খেয়াল করি :
"ঔগ্গোয়া মাইন্ষ্যের দুয়া পোয়া আছিল্।
একজনের দুটো ছেলে ছিল।"
আমাদের দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের রয়েছে নিজস্ব ভাষারীতি। এ রীতিকে বলা হয় আঞ্চলিক ভাষা। প্রথম বাক্যটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষারীতি। আবার এই কথাটিই নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষেরা তাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলবেÑ ‘অ্যাকজনের দুই হুত আছিল্।’ আঞ্চলিক ভাষা একেক স্থানে একেক রকম বলে এক অঞ্চলের মানুষের পক্ষে অন্য অঞ্চলের ভাষা বোঝা কঠিন হয়। আবার উপরের দ্বিতীয় বাক্যটি এদেশের সব অঞ্চলের মানুষই বুঝতে পারবে। এভাবে সব ধরনের ভাষারীতিরই এমন একটি রূপ রয়েছে যেটির মাধ্যমে সকল শ্রেণির মানুষের কাছেই মনের ভাব প্রকাশ করা সম্ভব হয়। এই রূপটির নাম প্রমিত ভাষা।
✅ সাধু ও চলিত ভাষা :
নিচের বাক্য দুটি পড়ি
"তাহারা ফুল তুলিতেছে।তারা ফুল তুলছে।"
দুটি বাক্যের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ কর। প্রথম বাক্যের সর্বনাম পদ (তাহারা)-টির আকার দ্বিতীয় বাক্যের সর্বনাম পদ (তারা)-এর চেয়ে বড়। আবার প্রথম বাক্যের ক্রিয়াপদ (তুলিতেছে)-এর আকার দ্বিতীয় বাক্যের ক্রিয়াপদ (তুলছে)-এর তুলনায় বড়। আকারে বড় অর্থাৎ প্রথম রূপটির নাম সাধু ভাষা, আর আকারে ছোট অর্থাৎ দ্বিতীয় রূপটির নাম চলিত ভাষা। সাধুভাষা মূলত ব্যবহার করা হয় সাহিত্য রচনায় বা বই পুস্তকে। কথা বলার জন্য আমরা সাধু ভাষা ব্যবহার করি না। চলিত ভাষাতেই আমরা সাধারণত কথা বলে থাকি। তবে বর্তমানে লেখালেখির ক্ষেত্রেও চলিত ভাষার ব্যবহারই বেশি চোখে পড়ে।
সাধু ভাষা : যে ভাষা সাধারণত সাহিত্য রচনায় ব্যবহার করা হয় বা বই-পুস্তকে লেখা হয়, তাকে সাধু ভাষা বলে।
চলিত ভাষা : যে ভাষায় আমরা সাধারণত কথা বলে থাকি, তাকে চলিত ভাষা বলে
ধ্বনি-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
বর্ণ-৩য়,৪র্থ,৫ম শ্রেণি
শব্দ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
বাক্য-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
পদ প্রকরণ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- ১. বিশেষ্য
- ২. বিশেষণ
- ৩. সর্বনাম
- ৪. অব্যয়
- ৫. ক্রিয়া।
লিঙ্গ-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- ১. পুংলিঙ্গ,
- ২. স্ত্রীলিঙ্গ,
- ৩. ক্লীবলিঙ্গ ও
- ৪. উভয়লিঙ্গ।
বচন-তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির
- ১. একবচন
- ২. বহুবচন।
তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সন্ধি
- সন্ধি বাক্যকে সুন্দর ও মধুর করে।
- উচ্চারণকে সহজ করে।
- বাক্যকে সংক্ষিপ্ত করে।
- নতুন নতুন শব্দের সৃষ্টি করে।