৫ম শ্রেণি ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি ইসলাম তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ পোস্টে সবাইকে স্বাগতম
এখানে পঞ্চম শ্রেণি ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা তৃতীয় অধ্যায়ের যা যা থাকছে।
- অনুশীলনির প্রশ্ন উত্তর
- অতিরিক্ত সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
- অতিরিক্ত কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন উত্তর
তৃতীয় অধ্যায় আখলাক বা চরিত্র ও নৈতিক মূল্যবোধ
👉 অনুশীলনীর প্রশ্ন ও সমাধান
ক নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন : বহুনির্বাচনি প্রশ্নোত্তর :
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন (চ) দাও :
১. আখলাক অর্থ কী?
ক. আচরণ খ. সদাচার গ. সুন্দর ঘ. উত্তম
২. আমরা বেকার লোকদের কিসের ব্যবস্থা করে দেব?
ক. কাজের খ. সেবার গ. মুক্তির ঘ. বস্ত্রের
৩. দেশপ্রেম অর্থ কী?
ক. দেশের গান করা খ. দেশে বাস করা
গ. দেশকে দেখা ঘ. দেশকে ভালোবাসা
৪. মহানবি (স) কোথায় হিজরত করেছিলেন?
ক. কুফায় খ. তায়েফে গ. মদিনায় ঘ. মিশরে
৫. মানুষ অন্যায় করার পর অনুতপ্ত হলে আল্লাহ তাকে কী করেন?
ক. স্মরণ করেন খ. ক্ষমা করেন
গ. শাসন করেন ঘ. ত্যাগ করেন
৬. ভালো কাজে একে অপরকে কী করবে?
ক. ধমক দেবে খ. মারবে
গ. শাসন করবে ঘ. সহযোগিতা করবে
৭. সততা মানে কী?
ক. ধৈর্যধারণ খ. সরলতা গ. সাধুতা ঘ. বিরোধিতা
৮. হযরত বায়েজিদ বোস্তামী (র) কোথাকার অধিবাসী ছিলেন?
ক. ইরান খ. ইরাক গ. মিশর ঘ. লিবিয়া
৯. মানুষ যা চেষ্টা করে তাই পায়, এটি কার উক্তি?
ক. মানুষের খ. ফেরেশতার
গ. মহানবি (স)-এর ঘ. আল্লাহর
১০. মানুষের অধিকারকে কী বলা হয়?
ক. মানবতা খ. মানবাধিকার
গ. মানবধর্ম ঘ. মানব জাতি
১১. প্রাকৃতিক পরিবেশ কোনটি?
ক. জানালা খ. দালান গ. দরজা ঘ. গাছপালা
১২. কোনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়?
ক. বন্যা খ. ভ‚মিকম্প গ. অগ্নিকাÐ ঘ. ঘূর্ণিঝড়
উত্তরমালা
১. খ ২. ক ৩. ঘ ৪. গ ৫. খ ৬. ঘ
৭. গ ৮. ক ৯. ঘ ১০. খ ১১. ঘ ১২. গ
খ শূন্যস্থান পূরণ কর :
১. যার আচরণ ভালো সে সকলের সাথে ভালো --- করে।
২. মানুষ আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি --- দেখাবে।
৩. দেশপ্রেম --- অঙ্গ।
৪. মক্কা বিজয়ের পর মহানবি (স) মক্কাবাসীকে --- বলেছিলেন?
৫. সততা মানুষকে --- দেয়।
৬. মায়ের --- নিচে সন্তানের জান্নাত।
৭. চেষ্টা ও শ্রম --- চাবিকাঠি।
উত্তর : ১. ব্যবহার; ২. দয়া; ৩. ইমানের; ৪. কী; ৫. মুক্তি; ৬. পায়ের; ৭. সাফল্যের
গ বাম পাশের কথাগুলোর সাথে ডান পাশের শব্দগুলো মিলাও :
বাম ডান
১. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র দয়া দেখান না
২. যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি দয়া দেখায় না আল্লাহ তার প্রতি পুরস্কার রয়েছে
৩. আমাদের জন্মভ‚মির নাম ময়লা ফেলব
৪. যে ক্ষমা করল তার জন্য আল্লাহর কাছে সহযোগিতা করবে
৫. আমরা সকলে ডাস্টবিনে সবচেয়ে সুন্দর
৬. তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে বাংলাদেশ
উত্তর :
১. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক, যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।
২. যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি দয়া দেখায় না আল্লাহ তার প্রতি দয়া দেখান না।
৩. আমাদের জন্মভ‚মির নাম বাংলাদেশ।
৪. যে ক্ষমা করল তার জন্য আল্লাহর কাছে পুরস্কার রয়েছে।
৫. আমরা সকলে ডাস্টবিনে ময়লা ফেলব।
৬. তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।
👉 সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন :
প্রশ্ন- ১ \ মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) সুন্দর চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই লোক যার চরিত্র সবচেয়ে সুন্দর।”
প্রশ্ন- ২ \ ‘সৃষ্টির সেবা’ কাকে বলে?
উত্তর : আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি মানুষের দয়া দেখানো এবং সহানুভ‚তি প্রদর্শন করার নামই সৃষ্টির সেবা।
প্রশ্ন- ৩ \ মহানবি (স) মক্কাবাসীদেরকে কিসের আহŸান জানিয়েছিলেন?
উত্তর : মহানবি (স) মক্কাবাসীদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার আহŸান জানিয়েছিলেন।
প্রশ্ন- ৪ \ ক্ষমাশীল ব্যক্তি কে?
উত্তর : যার মন উদার, মানুষের জন্য যার দয়ামায়া বেশি, যে রাগ দমন করতে পারে সেই ক্ষমাশীল।
প্রশ্ন- ৫ \ মন্দকাজ কাকে বলে?
উত্তর : খারাপ ও অসৎ কাজকে মন্দ কাজ বলে।
প্রশ্ন- ৬ \ যার মধ্যে সততা আছে তাকে কী বলে?
উত্তর : যার মধ্যে সততা আছে তাকে সৎব্যক্তি বলা হয়।
প্রশ্ন- ৭ \ আমরা পিতামাতার সাথে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আমরা সবসময় পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করব।
প্রশ্ন- ৮ \ আমরা পিতামাতার জন্য কী বলে দোয়া করব?
উত্তর : আমরা পিতামাতার জন্য এই বলে আল্লাহর কাছে দোয়া করব যে,
“হে আমার প্রতিপালক। পিতামাতা আমাকে যেভাবে শৈশবে স্নেহ-যতেœ লালনপালন করেছেন, আপনি তাদের প্রতি ঠিক তেমনি দয়া করুন।”
প্রশ্ন- ৯ \ আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে কীরূপ ব্যবহার করব?
উত্তর : আমরা বাসার কাজের লোকদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। নিজেরা যা খাই, যা পরি তাই তাদের খেতে দেব, পরতে দেব।
প্রশ্ন- ১০ \ মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে কী বলেছেন?
উত্তর : মহানবি (স) শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে বলেছেন, ‘শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও’।
প্রশ্ন- ১১ \ মানবজাতির আদিপিতা ও আদিমাতা কে কে ছিলেন?
উত্তর : মানবজাতির আদিপিতা হযরত আদম (আ) এবং আদিমাতা হাওয়া (আ)।
প্রশ্ন- ১২ \ প্রাকৃতিক পরিবেশ কাকে বলে?
উত্তর : আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে এসব কিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়-পর্বত এসব কিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়।
👉বর্ণনামূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন- ১ \ আমরা কোন কোন মন্দ আচরণ থেকে দূরে থাকব?
উত্তর : আমরা যেসব মন্দ আচরণগুলো থেকে দূরে থাকব তা হলো :
১. আমরা কখনো মিথ্যা কথা বলবনা। ২. ঝগড়া-বিবাদ করব না। ৩. হিংসা করবনা। ৪. চুরি-ডাকাতি করবনা। ৫. ধূমপান করবনা। ৬. কটু কথা বলবনা। ৭. দেশের ও জনগণের ক্ষতি করবনা। ৮. আল্লাহর ইবাদত করতে ভুলবনা।
প্রশ্ন- ২ \ আমরা কীভাবে মানুষের সেবা করব?
উত্তর : আল্লাহর ইবাদতের পর আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের সেবা করা। আমরা বিভিন্ন উপায়ে মানুষের সেবা করব। যেমন : ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়ে, বস্ত্রহীনদের বস্ত্র দিয়ে, রোগীদের সেবা করে, আশ্রয়হীনদের আশ্রয় দিয়ে, পাড়া-প্রতিবেশীদের কারো সমস্যা দেখা দিলে তা সমাধানের চেষ্টা করে, অভাবী ও দুঃখীজনদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা মানুষের সেবা করব। মহানবি (স) বলেছেন, তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থ ব্যক্তির সেবা কর এবং বন্দীকে মুক্তি দাও। তাছাড়াও বেকার লোকদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়া, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশী বিপদে পড়লে সাহায্য-সহযোগিতা করা একান্ত কর্তব্য।
প্রশ্ন- ৩ \ কী কী উপায়ে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করা যায়?
উত্তর : নিম্নোক্ত উপায়ে আমরা দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারি:
১. দেশের সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করব, কেউ বিপদে পড়লে সাহায্য করব।
২. গৃহপালিত পশুপাখির যতœ নেব, তাদের কোনো কষ্ট দেবনা।
৩. বৃক্ষরোপণ করব, ফলমূলের গাছ লাগাব, গাছ নষ্ট করবনা, পাতা ছিঁড়বনা, ডাল ভাঙবনা।
৫. পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস অপচয় করবনা, জাতীয় সম্পদ রক্ষা করব।
৬. দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষকে ভালোবাসব, সুন্দর সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
প্রশ্ন- ৪ \ মহানবি (স)-এর জীবনের ক্ষমার একটি আদর্শ কাহিনী উল্লেখ কর।
উত্তর : মহানবি (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্ত প্রতীক। তাঁর সারা জীবনই আমাদের জন্য ক্ষমার উজ্জ্বল আদর্শ। মহানবি (স)-এর ওপর কাফিররা নির্মম অত্যাচার করত। তাঁকে মক্কা ছাড়তে বাধ্য করল। তিনি আল্লাহর নির্দেশে জীবন রক্ষার্থে এবং ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ গমন করলেন। তাঁর সাথে ছিলেন পালিত পুত্র যায়িদ (রা)। তায়েফবাসী তাঁর ইসলাম প্রচার শুনল না। তারা তাঁকে লাঞ্ছিত করল, পাথরের আঘাতে তাঁকে এবং যায়িদ (রা) কে রক্তাক্ত করল। আল্লাহর রহমতে তাঁরা দুজনে রক্তাক্ত অবস্থায় তায়েফ থেকে ফিরে আসলেন। কিন্তু তবুও দয়ার নবি (স) তায়েফবাসীদের জন্য বদদোয়া করলেন না। তিনি আল্লাহর কাছে এই দোয়া করলেন, ‘হে আল্লাহ! তারা অবুঝ, তারা কিছুই বোঝে না। তুমি তাদেরকে ক্ষমা কর।’ তাছাড়া মক্কা বিজয়ের পর শত্রæদের হাতের মুঠোয় পেয়েও ক্ষমা করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।
প্রশ্ন- ৫ \ আমরা ভালো কাজে কীভাবে সাহায্য করব?
উত্তর : আমরা নানাভাবে ভালো কাজে সাহায্য করতে পারি। যথা :
১. গরিব ও দুস্থদের স্বাবলম্বনের জন্য তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বড়দের সাহায্য করব।
২. এলাকার জনগণের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তাঘাট, পুল ও সাঁকো নির্মাণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেব এবং এসব নির্মাণে বড়দের সাথে কাজ করব।
৩. ময়লা আবর্জনা ডাস্টবিন বা নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলব এবং সকলকে ফেলতে বলব।
৪. সকলে মিলে গ্রামে বা মহল্লায় ছোটখাটো গ্রন্থাগার তৈরি করে নিজেরা বই পড়ব এবং অন্যকে পড়তে উৎসাহিত করব।
৫. রাস্তার পাশে বা ফাঁকা জায়গায় গাছ লাগাতে বড়দের সাহায্য করব।
প্রশ্ন- ৬ \ মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) কী বলেছেন?
উত্তর : মন্দ কাজ সম্পর্কে মহানবি (স) বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ কারো মন্দকাজ করতে দেখে তাহলে সে যেন নিজের শক্তি দিয়ে তাকে বাধা দেয়। আর যদি সে শক্তি দিয়ে বাধা দিতে অপারগ হয়, তাহলে সে উপদেশের মাধ্যমে তাকে সংশোধন করে। আর সে যদি তাও না পারে তাহলে সে যেন তার প্রতি ঘৃণা করে। আর এটিই দুর্বল ইমানের পরিচয়।”
প্রশ্ন- ৭ \ হযরত ওমর (রা)-এর সততার পরিচয় দাও।
উত্তর : ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা) এর চরিত্রে সততার গুণটি পরিপূর্ণভাবে বিদ্যমান ছিল। তিনি রাষ্ট্রের সর্বস্তরে ন্যায়বিচার করতেন এবং কোনো প্রকার অন্যায় কাজ হলে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নিতেন। ছোট-বড়, আপন-পর, ধনী-দরিদ্র সকলের জন্য তিনি সমান বিচার করতেন এবং তাঁর বিচারে কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব হতো না। তিনি রাতের অন্ধকারে ছদ্মবেশে মদিনার অলিতেগলিতে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিতেন এবং তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতেন। মদিনার এক দরিদ্র মহিলার সৎ কন্যার সততায় মুগ্ধ হয়ে হযরত ওমর (রা) তার যোগ্য ও স্নেহের পুত্রকে তার সাথে বিয়ে দেন।
প্রশ্ন- ৮ \ আমরা পিতামাতার খিদমত করব কেন?
উত্তর : যে কারণে আমরা পিতামাতার খেদমত করব তা নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. পৃথিবীতে পিতামাতার চেয়ে আপনজন আমাদের আর কেউ নেই।
২. পিতামাতার ওসিলাতেই আমরা দুনিয়াতে এসেছি।
৩. তাঁদের স্নেহ ও আদরে আমরা লালিতপালিত এবং বড় হয়েছি।
৪. পিতামাতার খেদমত করলে তাঁরা আমাদের ওপর খুশি হবেন।
৫. পিতামাতার খেদমত করলে আমরা দুনিয়ায় ও আখিরাতে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারব।
প্রশ্ন- ৯ \ মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে কী বলেছেন? [২০১৫]
উত্তর : আমাদের সমাজে যারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে তারাই হলো চাকর। মহানবি (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন, ‘যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে, নিজে যা পরিধান করবে তাদেরও তা পরতে দেবে। কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে, বেশি কষ্ট দেবেনা। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেবে’।
প্রশ্ন- ১০ \ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমরা কী কী কৌশল অবলম্বন করব।
উত্তর : আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য নিম্নোক্ত কৌশলগুলো অবলম্বন করব তা হলো :
১. যথাসম্ভব উঁচু জায়গায় বসতভিটা, গোয়ালঘর ও হাঁস-মুরগির ঘর তৈরি করব।
২. ঘরের ভেতরে উঁচু মাচা তৈরি করে তার উপর খাদ্যশস্য ও বীজ ইত্যাদি সংরক্ষণ করব।
৩. পুকুরের পাড় উঁচু করব। টিউবওয়েল ও ল্যাট্রিন যথাসম্ভব উঁচু স্থানে বসাব।
৪. শুকনো খাবার যেমন : চিড়া, মুড়ি, গুড় এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ ঘরে মজুত রাখব এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে সাঁতার শেখাব।
৫. বন্যার সময়ে যাতায়াতের জন্য নৌকা না থাকলে কলাগাছের ভেলা তৈরি করে নেব।
আপনার সাতএ যোগাযোগের কোন ফোন নমবর
উত্তরমুছুন