উপস্থিত বক্তৃতা বিষয় বঙ্গবন্ধু

উপস্থিত বক্তৃতা  বিষয় বঙ্গবন্ধু


উপস্থিত বক্তৃতা

বিষয়: বঙ্গবন্ধু

আজকের এই সভায় উপস্থিত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমন্ডলী, বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলী, উপস্থিত অভিভাবকবৃন্দ বিভিন্ন বিদ্যালয় থেকে আগত শিক্ষার্থীদেরকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম “আসসালামু আলাইকুম”।  আশা করি সকলেই ভালো আছেন।

আজকে আমার বক্তৃতার বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধু তথা বাঙালী জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়। বঙ্গবন্ধু একটি প্রতিষ্ঠান একটি সত্তা একটি ইতিহাস একটি অনুভূতি সর্বপরি বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু এমন একটি আলোচিত ও গবেষিত ব্যক্তিত্ব যে তার জন্ম, বাবা-মার, দাদা-দাদির নাম বলা মানে সময় নষ্ঠ ছাড়া আর কিছুই নয় করণ ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই জানে এগুলো।

এই মহান ব্যক্তিটি সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই ১৯২০ সালে। ছোটবেলায় খোকা নামে পরিচিত বঙ্গবন্ধু ডিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবনের সূচনা করেন এবং কলকাতা ইসলাইময়া কলেজ থেকে আইন পড়া শেষ করেন।

বঙ্গবন্ধু ছোটদের ভীষণ ভালবাসতেন, কচি-কাঁচার মেলা ও খেলাঘর ছিল তার প্রিয় সংগঠন। তার জীবনের শেষ সময়টি তিনি কাটিয়েছেন ওই সংগঠনের ভাই বোনদের সাথে। তার জন্মদিন কে এখন আমরা ”জাতীয় শিশু দিবস” হিসেবে পালন করি।

বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকে সমাজের সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। দেখেছেন জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ-নিপীড়ন। দরিদ্র মানুষের দুঃখ-কষ্ট তাকে সারাজীবন সাধারণ দুঃখী মানুষের সাথে থাকতে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহানায়ক এই ব্যক্তিটি ছিলেন এক বজ্রকণ্ঠি রাজনৈতিক ব্যক্তি। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১। টানা ২৪ বছরের সেই সংগ্রাম যেন এক মহাকাব্য, যেই কাব্যের ধারাবাহিকতায় তিনি কখনো দেন ছয় দফা, কখনো বা সরাসরি ঘোষণা, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' আর এই ঘোষণায় ছিনিয়ে আনে আমাদের লাল সবুজের পতাকা।

কিন্তু কিছু বিপথগামী সেনা সদস্যদের কারণে পঁচাত্তরের সেই ১৫ আগস্টের শ্রাবণের রাতে বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের অশ্রু যেন এক হয়েছিল। আসলে বঙ্গবন্ধু নন, তার আদর্শকেই হত্যা করার চেষ্টা হয়েছিল।

”যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই।

যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই!

তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা,

আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা”

গানের কথাগু‌লো শুনলেই চোখ ভিজে আসে। বঙ্গবন্ধুর মতো নেতা শুধু বাংলায় কেন এই গোটা পৃথিবীতে খুব বেশি নেই তাইতো কিংবদন্তি বিপ্লবী ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।

আমরা সেই মহানায়কের ব্যক্তিত্বে ব্যক্তিত্যসম্পন্ন হয়ে সমসরে বলবো......

”যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরি মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।”

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

 

3 মন্তব্যসমূহ

  1. ধন্যবাদ আমাকে সুন্দর একটি। উপস্থিত বক্তৃতা লিখে দেওয়ার জন্য।

    উত্তরমুছুন
  2. আমার খুব সুবিধা হয়েছে😊এটা দেওয়া জন্য ধন্যবাদ ☺️

    উত্তরমুছুন
নবীনতর পূর্বতন