বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষাব্যস্থায় প্রাথমিক শিক্ষাই হচ্ছে শিক্ষার প্রধান সোপান। এই প্রাথমিক শিক্ষাকে কার্যকর ও ফলপ্রসূ করার জন্য প্রণয়ন করা হয় শিক্ষাক্রম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগী করে তোলার জন্য কয়েকবারই এর পরিমার্জন ও সংশোধন করা হয়। শুরুতে উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। ১৯৭৫ সালে গঠিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটি ১৯৭৬ সালে এই উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে। মূলত শিক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কী শিখবে তা ঠিক করার পূর্বে কেন শিখবে সেই বিষয়ে ভাবনা থেকেই উদ্দেশ্যভিত্তিক শিক্ষাক্রমের সূচনা। কিন্তু এই শিক্ষাক্রম ছিল প্রধানত শিক্ষককেন্দ্রিক এবং শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত শিখন উদ্দেশ্যসমূহ সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত ছিল না। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা কী কী যোগ্যতা অর্জন করবে তা সুচিহ্নিত ছিল না। ফলে শিক্ষকগণ সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের অর্জনসমূহ বা শিখনফল পরিমাপ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হতেন। তাছাড়া দেশ ও সমাজের চাহিদা পূরণ এবং নতুন জ্ঞান সংযোজন করা অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশে যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯২ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এই যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম দেশব্যাপী বাস্তবায়নের কাজ আরম্ভ হয়। এখানে মূলত শিক্ষার্থীদের বয়স ও মেধানুযায়ী অর্জন উপযোগী যোগ্যতা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষার পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়। শিক্ষাক্রম প্রণয়ন একটি ধারাবাহিক ও পর¯পর বিন্যস্ত প্রক্রিয়া।
যে বিষয়ের কারিকুলাম ডাউনলোড করতে চান তার উপরে ক্লিক করুন।
বাংলা কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) Curriculum
English কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) Curriculum
গণিত কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) Curriculum
বিজ্ঞান কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) Curriculum
বাওবি কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) Curriculum
নিচে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের প্রবাহ চিত্র দেখানো
হলো: