রুব্রিক তৈরির কৈশল

 রুব্রিক তৈরির কৈশল

সাধারণত একটি রুব্রিকে চারটি অংশ থাকে: মানদন্ড (criteria), আদর্শ (standards), বিবৃতি (descriptors) এবং লেভেল বা পয়েন্ট মান (scale)। এ চারটি অংশের ওপর ভিত্তি করেই একটি রুব্রিক তৈরি করা হয়। নিচে উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো-

 মানদন্ড (criteria) ১৪৮ রুব্রিকের একটি প্রধান অংশ হলো এর পারদর্শিতা বা সাফল্য বা মূল্যায়ন মানদন্ড (performance or success or evaluative criteria), যার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা, যেমন-কোনো কাজ বা দক্ষতা মূল্যায়ন করা হয়। এতে কোনো বিষয়ে সাফল্যমন্ডিত পারদর্শিতার জন্য যে যে দিকের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বা যে যে শর্ত মানতে হবে সে সকল গুরুত্বপূর্ণ দিক সংযোজন করা হয়। এই মানদন্ড নির্ধারণের সময় লক্ষ রাখা প্রয়োজন, যেন তা শিখন শেখানো পদ্ধতির সাথে সংগতিপূর্ণ হয় এবং শিক্ষকের পাঠ পরিকল্পনার জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করে। কারণ এসব মানদন্ডের অর্জনই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ সাধনে সহায়তা করবে। শিক্ষক এই মানদন্ড শিক্ষার্থীকে অবহিত করবেন, যাতে শিক্ষার্থী তা অর্জনে সচেষ্ট হতে পারে। যেমন- একটি লিখিত অ্যাসাইনমেন্টের মানদন্ডের মধ্যে যা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে:

  • ভূমিকা
  • প্যারাগ্রাফ
  • উদাহরণ
  • উপসংহার

 আদর্শ (standards)

এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো আদর্শ (standards) বা আদর্শ মাত্রা। পারদর্শিতার মানদন্ড কতটা ভালোভাবে অর্জিত হয়েছে তা নির্দেশিত হয় আদর্শ মাত্রা দ্বারা। অর্থাৎ পারদর্শিতার বিভিন্ন অংশ কতটা ভালোভাবে অর্জিত হয়েছে তার সাংখ্যিক বা বর্ণনামূলক মাত্রা, যা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। যেমন-

  • ভূমিকা : দুর্বল, মোটামুটি, ভালো ইত্যাদি।
  • প্যারাগ্রাফ : দুর্বল, মোটামুটি, ভালো ইত্যাদি।
  • উদাহরণ : দুর্বল, মোটামুটি, ভালো ইত্যাদি।
  • উপসংহার : দুর্বল, মোটামুটি, ভালো ইত্যাদি।

 বিবৃতি (descriptors)

এখানে পারদর্শিতার বিভিন্ন অংশের মানদন্ড এবং আদর্শ মাত্রার বিস্তারিত বর্ণনা থাকে, যার আলোকে

শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা বা এর বিভিন্ন অংশ যাচাই বা মূল্যায়ন করা হয়।

 লেভেল বা পয়েন্ট মান (scale)

পয়েন্ট মান যা দ্বারা শিক্ষার্থী সম্পাদিত কাজের মান নির্দেশ করা হয়। পয়েন্ট মান সাংখ্যিক বা বর্ণনামূলক হতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিসরের মধ্যে যে কোনো মান হতে পারে। সবচেয়ে উত্তম কাজের জন্য সর্বো‪চ মান দেয়া হয়। যেমন-

  • উন্নয়ন প্রয়োজন (১), সন্তোষজনক (২), ভালো (৩), খুবই ভালো (৪) [চার পয়েন্ট মান/¯ে‥ল]
  • দুর্বল (১), মোটামুটি (২), গড়পড়তায় ভালো (৩), খুব ভালো (৪), চমৎকার (৫) [পাঁচ পয়েন্ট মান/লেভেল

রুব্রিক তৈরির সময় শিক্ষক এক সেট মানদন্ড তৈরি করেন, ব্যাখ্যাসহ মানদন্ডের প্রয়োজনীয় বর্ণনা প্রদান করেন, প্রতিটি মানদন্ডের সাথে একটি পয়েন্ট মান (১, ২, ৩, ইত্যাদি) সংযোজন করেন। যেখানে গ্রেড ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে সেখানে রুব্রিক গ্রেড প্রদানে একটি নিরপেক্ষ উপকরণ হিসেবে কাজ করে।


ট্যাগ

রুব্রিক তৈরির কৈশল, রুব্রিক কিভাবে লিখতে হয়। রুব্রিক লেখার নিয়ম।

Masud Rana

স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্লগে লিখতে ভালোবাসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন