অষ্টম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ

অষ্টম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ

অষ্টম শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৪র্থ সপ্তাহ class 8 science assignment 4th week

শিরোনামঃ ২নং বিজ্ঞান অ্যাসইনমেন্ট (পরমাণুর গঠন)

আরো দেখুনঃ 


অ্যাসাইনমেন্ট শুরু

‘ক’ প্রশ্নের উত্তর

আইসোটোপঃ যে সকল পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা এক কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন অর্থাৎ যে সকল পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু নিউট্রন সংখ্যা ভিন্ন তাদের কে পরস্পরের আইসোটোপ বলে।

যেমনঃ হাইড্রোজেনের তিনটি আইসোটোপ হলো: 



’খ’ প্রশ্নের উত্তর

পারমাণবিক সংখ্যাঃ কোনো মৌলের পরমাণুর নিউ্ক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যায় হলো পারমাণবিক সংখ্যা। অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় একটি পরমাণুতে যে কয়টি প্রোটন অথবা ইলেকট্রন থাকে তাকেই পারমানবিক সংখ্যা বলা হয়। একটি পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা একটিই হবে এবং দুইটি পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা কখনো একই হবে না। পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা পরমাণুর বৈশিষ্ট্য ধারণ করে।

যেমন, অক্সিজেনের পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ৮ টি প্রোটন থাকায় এর পারমাণবিক সংখ্যা ৬।

’গ; প্রশ্নের উত্তর

উদ্দিপকে উল্লেখিত Z মৌলটি হলো কার্বন (C)

এবং উদ্দিপক অনুযায়ী কার্বনের পারমাণবিক সংখ্যা অর্থাৎ প্রোট সংখ্যা = ৬

                        ভরসংখ্যা = ১৪

আমরা জানি, মৌলের ভরসংখ্যা =পারমাণবিক সংখ্যা + নিউট্রন সংখ্যা

        বা, নিউট্রন সংখ্যা = ভরসংখ্যা - পারমাণবিক সংখ্যা

        বা, নিউট্রন সংখ্যা = ১৪-৬

        ∴ নিউট্রন সংখ্যা = ৮

অর্থাৎ উদ্দিপকের ছকে উল্লেখিত Z  মৌলের ১ টি পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা ৮ টি


’ঘ’ প্রশ্নের উত্তর

উদ্দিপকে উল্লেখিত X ও Y মৌল দুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে যৌগ গঠন সম্ভব

উদ্দিপকের X মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা ১৭ এবং ভরসাংখ্যা ৩৫ অর্থাৎ মৌলটি হচ্ছে Cl

       অন্যদিকে Y মৌলটির পারমাণবিক সংখ্যা ১১ এবং ভরসাংখ্যা ২৩ অর্থাৎ মৌলটি হচ্ছে Na

Na (১১) এর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো: ২, ৮, ১

Cl (১৭) এর ইলেকট্রন বিন্যাস হলো: ২, ৮, ৭

আমরা জানি কোন পরমাণুর শেষ কক্ষপথে ২ অথবা ৮টি ইলেকট্রন থাকলে তারা স্থিতিশীল হয়। নিস্ক্রিয় গ্যাস সমূহের ইলেকট্রন বিন্যাস অনুরুপ।  তাই প্রত্যেক পরমাণু স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য তার নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে চায় অর্থাৎ শেষ কক্ষপথে ২ অথবা ৮ এর নিয়ম মেনে চলতে চায়। 

সোডিয়াম পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে তার শেষ কক্ষপথে ১ টি ইলেকট্রন বিদ্যামান। এখানে সোডিয়াম পারমাণু তার শেষ কক্ষপথের ১ টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্রাস নিয়নের (Ne) ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে চায়। এবং একটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে সোডিয়াম ক্যাটায়ন গঠন  করে।

Na - e⁻ = Na⁺    (ক্যাটায়ন)

অন্যদিকে ক্লোরিন পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যাচ্ছে তার শেষ কক্ষপথে ৭ টি ইলেকট্রন বিদ্যামান। এখানে ক্লোরিন পারমাণু তার শেষ কক্ষপথে ১ টি ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিকটতম নিস্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের  (Ar) ইলেকট্রন বিন্যাস অর্জন করতে চায়। এবং একটি ইলেকট্রন গ্রহণ করে ক্লোরিন অ্যনায়ন গঠন  করে।

Cl +  e⁻ = Cl⁻ (অ্যনায়ন)

আমরা জানি বিপরীত ধর্মী আয়ন পরস্পরকে আকর্ষন করে আয়নিক যৌগ গঠন করে। তাই Na⁺  (ক্যাটায়ন) ও Cl⁻ (অ্যনায়ন) পরস্পরকে আকর্ষন করে এবং পরস্পরের সাথে যুক্ত হয়ে আয়নিক যৌগ সোডিয়াম ক্লোরাইড গঠন করে।

Na⁺ + Cl⁻ = NaCl       (সোডিয়াম ক্লোরাইড)

অর্থাৎ উপরোক্ত বিশ্লেষণ থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি X ও Y মৌল দুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে যৌগ গঠন সম্ভব। 

আরো দেখুনঃ 






Masud Rana

স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্লগে লিখতে ভালোবাসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন