অষ্টম (৮ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট

অষ্টম (৮ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট

অষ্টম (৮ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট

শিরোনামঃ ২নং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণির ২য় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

আরো পড়ুনঃ


অষ্টম শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশে ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নগুলো দেখুনঃ

উদ্দীপকটি পড় ও নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও;

কোভিড-১৯ এর কারণে রনির স্কুলের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সেটি কোভিড কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। গত সপ্তাহে রনিদের পাশের বাড়িতে একজন কোভিড পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়। পাড়া-প্রতিবেশিরা সবাই তাদের বাড়ির সাথে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ায় পরিবারটি চরম অসহায় পরিস্থিতিতে পড়ে। এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের এই দূর্ভোধ লাঘব করেন।

ক) সাংস্কাতিক আত্তীকরণ বলতে কি বুঝায়?
খ) সামাজিক পরিবর্তনের ২টি উদাহরণ দাও।
গ) রনিদের এলাকার মতো পরিস্থিতিতে তোমার এলাকায় কোভিড আক্রান্তদের
জন্য বিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে কী ধরনের স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগ নেয়া যায়, তার একটি তালিকা প্রণয়ন কর।
ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সামাজিকীকরণে কী ধরনের প্রভাব বিস্তার করছে তা ব্যাখ্যা কর।


অ্যাসাইনমেন্ট শুরু


’ক’  প্রশ্নের উত্তর

সাংস্কৃতিক আত্তীকরণঃ সাংস্কৃতিক আত্তীকর হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠি অন্যের সংস্কৃতি আয়ত্ব করে।

’খ’ প্রশ্নের উত্তর

সামাজিক পরিবর্তনের দুটি উদাহরণঃ পরিবর্তনশীলতা সমাজের একটি ধর্ম। সমাজ সব সময় পরিবর্তনশীল। সমাজ পরিবর্তনের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মূলত সমাজের কাঠামেরা পরিবর্তন তথা সমাজের উপাদানসমূহের পরিবর্তন হলো সামাজিক পরিবর্তন। যেহেতু সমাজের পরিসর বৃহৎ তাই এর পরিবর্তনের ক্ষেত্রটাও বৃহৎ। সমাজ পরিবর্তনের অসংখ্য উদাহরণের মধ্যে দুটি উদাহরণ নিম্নে দেওয়া হলো:

  • ১. আধুনিক ইলেকট্রনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে  চিঠির প্রচলন ও সামনা সামনি দেখা করার প্রথা বিলপ্ত হয়েছে।
  • ২. সামাজের মানুষের মর্যাদা আজ সোসাল মিডিয়ার চাঁদরে ঢাকা পড়ে গেছে। এবং মানুষের বিনোদন বাস্তব থেকে কাল্পনিক জগতে প্রবেশ করেছে।

’গ’ প্রশ্নের উত্তর

রানিদের এলাকার কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মতো আমাদের এলাকাতে কোভীড আক্রান্ত রোগীদের জন্য আমাদের বিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে অনেক স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যেগ নেওয়া যেতে পারে। উদ্দিপকের স্কুলছাত্র রনির প্রতিবেশী কোভীডে আক্রান্ত হওয়ায় পাড়া প্রতিবেশী সবাই তাদের বাড়ির সাথে সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ফলে তাদের পরিবারটি চরম অসহায় পরিস্থিতিতে পড়ে। এমতাবস্থায় এলাকার স্বেচ্ছাসেবীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির  সহায়তায় তাদের এই দুর্ভোগ লাঘব করেন। আমার এলাকার কোভিড আক্রান্তদের জন্য আমি ও আমার বিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে যে ধরনের উদ্যেগ নিতে পারি তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো।

১. কোনো পরিবার কভিডে আক্রান্ত হলে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাদের বাসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পৈছে দিতে পারি।

২.  সমাজের যারা দারিদ্র, কোভিডের সময় তারা উপার্জন করতে পারবেনা তাই তাদের খাদ্যের ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থার দায়ীত্ব নিতে পারি। 

৩. সকলকে সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি।

৪. মাস্ক ব্যবহারের গুরুত্ব সম্পর্কে সবাইকে অবগত করতে ও মাস্ক বিতরণে অংশগ্রহণ করতে পারি।

৫. প্রতিনিয়ত হ্যন্ড স্যনিটাইজার ও সাবানের ব্যবহারের প্রয়োজনীয়ত সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে পারি।

৬. অল্পদিনের মধ্যে যারা বিদেশ থেকে এসেছে তাদের কোয়োরান্টাইন সম্পর্কে বলতে ও জনসাধারণ থেকে তাদের দুরুত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিতে পারি।

৭. জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে লিফলেট বা প্রচার প্রচারণা চালাতে পারি।


সর্বপরি আমার এলাকর কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে তার পূর্ণ ব্যবহার ‍নিশ্চিত করতে আমার বিদ্যালয়ের বন্ধুরা মিলে একটি দল গঠন করবো এবং তা সঠিকভাবে পরিচালনা করবো।


’ঘ’ প্রশ্নের উত্তর

উদ্দীপকে বর্ণিত পরিস্থিতিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের সামাজিকীকরণে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কোভিড মহামারীর প্রাক্কাল থেকে অনলাইন সংবাদ মাধম গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দেশের কোভিড রোগির সংখ্যা, কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সর্বশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে অবগতকরণ, টিকা আবিষ্কারের আপডেট তথ্য, সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ সহ অনেক কাজে কভিড মোকাবেলায় সাহায্য করে আসছে। 

করণা কালিন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থা পুরটায় ভেঙ্গে পড়ার কথা ছিলো কিন্তু অনলইন  স্কুল চালু থাকায় সেই পরিস্থিতিটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীরা জুম, হোয়াট্এ্যপ, গুগুল মিট ইত্যাদি ব্যবহার করে অনলাইনে তাদের নিজেদের পাঠগুলো সম্পন্ন করতে পারছে। তাছাড়া যে কোনো সমস্যার সমাধান পেতে গুগল ও  ইউটিউবে সার্চ দিয়ে তার সমাধান করে নিচ্ছে। তাই কোভিড-১৯ এর সময়কালে তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষাব্যবস্থার হাল ধরেছে বলা চলে।

কভিড-১৯ চলাকালে লেনদেন ছিলো একটি বড় চ্যলেঞ্জ। সেটাও কাটিয়ে উঠতে তথ্য ও প্রযুক্তি আজ সাহায্য করেছে। মানুষ বিকাশ, রকেট, নগদ সহ ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারছে। 

করোনা কালিন সময়ে বাজার করার মত অসম্ভব কাজটি করতে সাহাজ্য করছে অনলাইন বাজার, অনলাইন বাজারে অর্ডার করলে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে  ব্যক্তির প্রয়োজনীয় বাজার বাসায় পৈছে দিচ্ছে। 

তাই সকল কিছু বিবেচনা করে বলা যায়, করোনা কালীন সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি আশীর্বাদ হয়ে মানুষের পাশে আছে। মানুষ ও রাষ্ট্রকে কোভিড মোকাবেলায় সর্বত্তম সাহায্য করে চলেছে। তথ্য ও প্রযুক্তির কিছু খারাপ দিক থাকলেও এক্ষেত্রে তার কোনো খারাপ দিক পাওয়া যায় না যা পাওয়া যায় তা  সবই ইতিবাচক। 

আরো দেখুনঃ 





অষ্টম (৮ম) বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট। class 8 bangladesh o bissoporichoi assignment 4t week

Masud Rana

স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্লগে লিখতে ভালোবাসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন