৮ম শ্রেণি ইসলাম ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সাথে অষ্টম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

৮ম শ্রেণি ইসলাম ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট

৮ম শ্রেণি ইসলাম ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সাথে অষ্টম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

শিরোনামঃ আখলাক

৮ম শ্রেণির ২য় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২১

আরো দেখুনঃ

৫ম সপ্তাহের অষ্টম শ্রেণির ইসলাম প্রশ্নগুলো দেখে নিনঃ

উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্রিষ্ট প্রশ্নের উত্তর দাও:

জনাব নকীব স্বীয় উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকার কতিপয় বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাস্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। অন্যদিকে তাঁর এক বন্ধু নাবিল তাঁর এ কাজগুলোতে অংশ না নিয়ে বরং বলেন, নকীব সাহেব নেতা হওয়ার জন্য এসব করছেন।
গ. নকীব সাহেবের মাঝে ইসলামের কোন সেবার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইসলামের দৃষ্টিতে কায়েসের দৃষ্টিভঙ্গি কীসের পরিচায়ক? আলোকপাত কর।


অ্যাসাইনমেন্ট শুরু


১ নং  এর ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর

আমাদের সমাজে বঞ্চিত জনগোষ্ঠির কণ্যালে গৃহীত কাজকেই সমাজসেবা বলা হয়।আর উদ্দীপকে নকীব সাহেবের মধ্যে আখলাকে হামিদা এর সমাজসেবা গুণ ফুটে উঠেছে। নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হলো:

জনাব, নকীব সাহেবের মাঝে ইসলামের যে বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে তা হলো আখলাকে হামিদার অন্তর্ভুক্ত সমাজসেবার গুণটি। এ গুণের মাধ্যমে তিনি মহানবী হযরত মুহম্মদ (স)-এর মানবীয় গুণের অনুসরণ করে সমাজসেবাকে সর্বোত্তম মর্যাদা দিয়েছেন। সমাজের বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কল্যাণে স্বেচ্ছায় গৃহীত কাজে সমাজসেবা বালে। মানবকল্যাণিও উন্নয়নের জন্য গৃহীত সকল কর্মই সমাজসেবা নামে পরিচিত। জনাব, নকীব সাহেব স্বীয় উদ্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এলাকার কতিপয় বন্ধুদের নিয়ে প্রতি শুক্রবার রাত্তাঘাট মেরামত ও সংস্কার করেন। এতে সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষা করা, পরস্পরের কলহ থেকে বন্ধুত্ব ও জনসেবার অন্তর্ভুক্ত তা এখানে ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি সম্মিলিত উদ্যোগে সাফল্যতা লাভ সম্ভব তা তিনি কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন। জনগণের উপকারে আসে এমন সব কাজের অভ্যাস ছোটবেলা থেকেই করা দরকার।

যেমন- ভাতা রাত্তা মেরামত করা, নতুন রাত্তা নির্মানে সাহায্য করা, পুল-সাঁকো নির্মাণ করা, রুগ্ন ব্যক্তির সেবা করা, আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌছে দেয়া, রাস্তার পাশে ফলদার বৃক্ষরোপণ করা, বৃক্ষ সংরক্ষণ করা ইত্যাদি | জনসেবা দ্বারা আলাহ তায়ালার সাহায্য লাভ করা যায়।

এ প্রসঙ্গে নবী করীম (স) বলেন, “আলাহ বান্দাকে ততক্ষণ সাহায্য করেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইকে সাহায্য করতে থাকে ।” (মুসলিম) আরবিতে একটি প্রবাদ বাক্য আছে, চিকিৎসাকেন্দ্রে পৌছে দেয়া, রাস্তার পাশে ছায়াদেয়া বৃক্ষ রোপণ করা, বৃক্ষ সংরক্ষণ করা ইত্যাদি। জনসেবা দ্বারা আল্লাহ তায়ালার সাহায্য লাভ করা যায়।

উদ্দীপকের তথ্য থেকে এবং উপরের আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি নকীব সাহেবের মধ্যে আখলাকের হামিদাহ গুণটি প্রকাশ পেয়েছে।

১ নং  এর ‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তর

ইসলামের দৃষ্টিতে নাবিলের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে পরশ্রীকাতরতা। এ প্রসঙ্গে নিচে আলোচনা করা হলো - পরশ্রীকাতরতা অর্থ অন্যের উন্নতি ও সৌভাগ্য দেখে ঈর্ষা প্রকাশ করা। অর্থাৎ কারো ধন- দৌলত, সম্মান, ভালো ফল বা উচ্চ মর্যাদা দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়া একতা ধ্বংস করাকে পরশ্রীকাতরতা বলা হয়। এটি একটি মারাত্বক ব্যাধি। এ ব্যাধি বহু কারণে সৃষ্টি হয়।

যেমন- শত্রতা, অহংকার, নিজের অসুদ্দেশ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, নেতত্বের লোভ ইত্যাদি। এসব কারণে এক ব্যক্তি অপর ব্যক্তির প্রতি হিংসা বিদ্বেষ করে থাকে। ইসলাম এ কাজগুলোকে হারাম ঘোষণা করেছে। এর অপকারিতা অপরিসীম । হযরত আদম (আ)-এর পদমর্যাদা দেখে ইবলিস তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়। ফলে সে অভিশপ্ত হয় এবং আল্লাহ তায়ালার দয়া থেকে বাঞ্চিত হয়।

আদম(আঃ) এর পুত্র কাবিল পরশ্রীকাতরতা বশবর্তী হয়ে তারই আপন ভাই হাবিলকে হত্যা করে। পরশ্রাকাতরতা মানুষের পুণ্য কাজগুলোকে ধবংস করে দেয়। এ সম্পর্কে মহানবী হযরত মুহম্মদ (স) বলেছেন, “আগুন যেমন শুকনো কাঠকে জ্বালিয়ে ছাই করে দেয়, পরশ্রীকাতরতা মানুষের পুণ্য কাজগুলোকে ধবংস করে দেয়।” মুসনাদি শিহাব হাদিস গ্রন্থে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে।

এ থেকে বুঝা যায়, নাবিল তার বন্ধু নকীবকে ঈর্ষা করে তার তার সমাজসেবাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে তাকে সবার কাছে নিন্দনীয় করতে থাকে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, তিনি পরশ্রীকাতরতা থেকে এরকম করেছেন। পরশ্রীকাতরতা মানুষের শাক্তি বিনষ্ট করে। মানে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে রাখে। পরশ্রীকাতর ব্যক্তি আল্লাহ ও মানুষের কাছে ঘৃণিত। কেউ তাকে ভালোবাসে না। কেউ তাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে না। সমাজের লোকেরা তাকে এড়িয়ে চলে। সমাজে ঝগডা-ফাসাদ, অশান্তি সৃষ্টি করে এ পরশ্রীকাতরতা। মানুষের মনে অহংকার সৃষ্টি করে। আমরা জানি, অহঙ্কারই পতনের মুল কারণ। আল্লাহতায়ালা কুরআন মাজীদে পরশ্রীকাতরতা থেকে বেঁচে ধাকার শিক্ষা দিয়েছেন। সুরা আল ফালাক, আয়াত নম্বর এ বলা হয়েছে, আর হিংসুকের (পরশ্রীকাতরতার) অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাই, যখন সে হিংসা করে। নাবিলের চরিত্রকে বর্জন করে আমরা পরশ্রীকাতরতা থেকে বাঁচার জন্য মহান আল্লাহর কাছে পানাহ চাইব। কারণ আল্লাহ তায়ালা হিংসা বর্জনকারীকে ভালোবাসেন। হিংসা বর্জনকারী জান্নাতি লাভ করবেন।

আরো দেখুনঃ

৮ম শ্রেণি ইসলাম ৫ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট সাথে অষ্টম শ্রেণি ৫ম সপ্তাহের সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর


Masud Rana

স্বাধীনচেতা একজন মানুষ। পেশায় একজন শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্লগে লিখতে ভালোবাসে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন