সবাইকে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার আমন্ত্রণ রইলো। তোমরা দেশের যে যেখানে থেকে আজকের পোস্টটি পড়ছো। সবাইকে আমাদের পক্ষথেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। তোমরা হয়তো জানো যে তোমাদের বিদ্যালয় প্রায় ১বছর ৬মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর খুলছে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ১৪ সপ্তাহ ২০২১
তোমরা হয়তো ভাবছো যে অ্যাসাইনমেন্টের ঝামেলা থেকে তোমরা মুক্ত হবে কিন্তু অ্যাসাইনমেন্ট বন্ধ হবে কিনা এই নিয়ে সুনিদৃষ্ট কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই তোমদের এখনি বলা যাচ্ছেনা যে এসাইনমেন্ট কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে তোমাদের বিদ্যালয় খুলে দিলে তোমরা অনেক উপকৃত হবে। সেই সাথে তোমারা এসাইনমেন্টের ঝামেলা থেকে মুক্ত হতে পরো।
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি তোমাদের ১৪ সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্টের প্রশ্নগুলো দেখেছো? যদি না দেখে থাকো তহলে চলো আমরা নমুনা উত্তর দেখার আগে প্রশ্নগুলো দেখে নিই।
১৪ সপ্তাহের কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১ প্রশ্ন
উপরের প্রশ্ন থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে তোমাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আজকের অ্যাসাইনমেন্টটি লিখতে হবে। প্রশ্নগুলো সহজ আছে। তাই তোমাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। চলো আমরা তোমাদের সেই কাঙ্খিত কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তরটি দেখে নিই।
ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর কৃষি শিক্ষা ১৪ সপ্তাহ
এসাইনমেন্ট শুরু
১। কৃষি প্রযুক্তিঃ কৃষিকে উন্নত করতে, জমি চাষে, ফসল ফলাতে, ডিম সংরক্ষণে, প্রকৃতিক দুর্যোগে প্রতিকুল পরিবেশে ফসল ফলাতে ও মাছ চাষ করতে যে পযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাই কৃষি প্রযুক্তি।
কৃষি প্রযুক্তির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো:
- নতুন কোনো ধারণা বা কাজ হবে।
- কৃষি কাজে সহজে করতে সাহায্য করবে।
- উৎপাদান বৃদ্ধি করবে।
- কম খরচে বেশি উৎপাদন হবে।
২। কৃষি প্রযুক্তির বিষয়গুলোঃ কৃষি প্রযুক্তিগুলোকে আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে পারি। নিচে কৃষি প্রযুক্তির বিষয়গুলোর নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- ফসল উৎপাদন
- গ্রহপালীত প্রাণী পালন
- মৎস চাষ
- বনায়ন
- পাখি পালন
৩। বিষয়ভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তির তালিকা তৈরিঃ
ক) ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রযুক্তিঃ
বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত, লবণ সহনশীল জাত, গোবর সার, জীবাণু সার, রাসায়নিক সার, সার ব্যবহারের মাত্রা, কীটনাশক, কীটনাশক ব্যবহারের মাত্রা, সাথী সঙ, সবুজ সার, পাওয়ার টিলার, লোলিফট পাম্প, গভীর নলকৃপ, সেঁউতি, দোন ইত্যাদি ।
খ) গ্রহপালীত প্রাণী পালনঃ
উন্নত জাতের গবাদি পশু, উন্নত জাতের হাঁস-মুরগি, গরু মোটাতাজাকরণ, কাচা ঘাস সংরক্ষণ, একত্রে হাস-মাছ-থান চাষ, হাস-মুরগির সুষম খাদ্য, উন্নত পদ্ধতিতে বাচ্চা উৎপাদন, উন্নত পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণ, পশু-পাখির রোগ দমন ইত্যাদি ।
গ) মৎস চাষঃ
খাচায় মাছ চাষ, মাছ ধরার বিভিন্ন প্রযুক্তি যেমন: পলো, জাল, বড়শি, পুকুরের পানি শোধন, তেলাপিয়া ও নাইলোটিকার চাষ, মাছ প্রত্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি ৷
ঘ) বনায়নঃ
সামাজিক বনায়ন, কৃষিবনায়ন, বৃক্ষ ও মাঠ ফসল চাষ পদ্ধতি, বন ও ফলল উদ্ভিদ চাষ পদ্ধতি, বৃক্ষ ও গো-খাদ্য চাষ পদ্ধতি , চারা উৎপাদন পদ্ধতি ইত্যাদি।
৪। জমি চাষ না করে দানা জাতীয় ফসল চাষঃ অনেক ফসল রয়েছে যেগুলো চাষ করতে জমি চাষের প্রয়োজন হয় না। জমিতে পানি না থাকলে কিছু দানা জাতীয় ফসল চাষ করা যায়। যেমন ভুট্রা, গম, সরিষা ইত্যাদি। এগুলো শুধুমাত্র জমিতে ছিটিয়ে দিলে চারা গজিয়ে যাবে। তারপর সময় মত পানি সেচ দিতে হবে। তারপর অতিরিক্ত কিছু চাষা তুলে ফেলতে হবে।
৫। বিদুৎবিহিন গ্রামিন পরিবেশে ডিম সংরক্ষণঃ সাধারণত যেখানে বিদুৎ থাকে সেখানে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ডিম সংরক্ষন বা ফুটানো হয়। এবং রেফ্রিজারেটরে রেখেও ডিম সংরক্ষণ করা যায়।
কিন্তু বিদুৎ না তাকলে তখন কিছুটা সমস্যা হয়। তবে নিচের পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ডিম ২০-২৫ দিন ভালো রাখা সম্ভব।
প্রথমে মাটিতে একটি গর্ত করতে হবে। তারপর সেই গর্তের চারিদিকে কয়লা বা খড় দিতে হবে। তারপর েএকটি হাড়ি সেই গর্তে বসিয়ে দিতে হবে। গর্তে বসানো সেই হাড়িতে কিছু ডিম রেখে দিলে তা ২০-২৫ দিন ভালো থাকবে।
৬। বন্যার সময় হাওড় অঞ্চলে মাছ চাষ প্রযুক্তিঃ বন্যার সময় হাওর এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এবং সমগ্র এলাকা পানিতে থৈ থৈ করে। তাই সাধারণ পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা যায় না। এক্ষেত্রে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। হাওরের পানিতে কিছু ড্রাম চারিদিক থেকে বেধে একটি জাল মাজে বসিয়ে দেওয়া হয়। সেই জালের মাজে মাছ ছাড়া হয়। তাই মাছ কোথাও চলে যেতে পারে না। এই জালের উপরেই খাবার দেওয়া হয়। ফলে মাছ দ্রুত বড় হয়।
এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে মাছ দ্রুত বড় হয় এবং খাবার কম লাগে। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে একই জলে অনেকজন মাছ চাষ করতে পারে এবং তাদের মাছের চাহিদা মেটাতে পারে।
৭। শীত মৌসুমে গবাদিপশুর কাঁচাঘাসের ব্যবস্থাঃ শীতকারে কাঁচা ঘাসের অভাব দেখা দেয়। তাই শীতকালের জন্য কাঁচাঘাসের সংরক্ষণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। শীতকালে কাঁচা ঘাষ সংরক্ষণের কয়েকটি উপায় রয়েছে। তবে সবথেকে সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি হলো সাইলেজ। এই পদ্ধতিতে কাঁচা ঘাসকে গর্তে সংরক্ষণ করা হয়। এবং ল্যক্টিক এসিড ব্যবহার করা হয়। নিচে সাইলেজ পদ্ধতিটি সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো।
কাঁচাঘাস সংরক্ষণে সাইলেজ পদ্ধতিঃ
- উত্তম উপায়ে সাইলেজ তৈরি করতে ফুল আসার পূর্বেই ঘাস কেটে ফেলতে হবে ৷
- সাইলেজ তৈরির করার জন্য প্রথমে একটি গর্ত করতে হবে। এরপর গর্তের মধ্যে (নিচে ও চারপাশে) পলিথিন অথবা খড় ভালোভাবে বিছিয়ে দিতে হবে।
- প্রতি ৩০০ কেজি সবুজ ঘাসের জন্য আলাদা একটি পাত্রে ঌ-১২ কেজি চিটাগুড়ের সাথে ৮-১০ কেজি পানি মিশিয়ে একটি দ্রবণ তৈরি করে নিতে হবে ৷
- এরপর গর্তের ভিতরে স্তরে স্তরে সবুজ ঘাস বিছাতে হবে৷ সবুজ ঘাসের স্তরের উপর পানি মিশ্রিত চিটাগুড় সমভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে এবং তার উপর শুকনা খড় বিছাতে হবে ৷
- এর ভিতরে কোন ধরনের বাতাস যাতে না থাকে সেজন্য খড়ের গাদাটি ভালভাবে পা দিয়ে পাড়িয়ে দিতে হবে ৷
- তারপর মাটি থেকে ৪-৫ ফুট উঁচু পর্যন্ত সবুজ ঘাস সাজিয়ে দিতে হবে যাতে ঘাস শুষ্ক হয়ে নীচু হলেও মাটির সমান্তরালের চেয়ে উচু থাকে ৷ তাহলে এতে গর্তে পানি প্রবেশ করতে পারবে না।
- ঘাসের উপর এবং চারপাশে শুকনো খড়ের পুরু আস্তরণ তৈরি করতে হবে এবং সম্পূর্ণ আস্তরণটি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ৷
- পলিথিন যাতে বাতাসে উড়ে না যায় সেজন্য মাটি চাপা দিয়ে দিতে হবে ৷
এসাইনমেন্ট শেষ
আরো পড়ুনঃ
- ১৪ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
- ১৪ সপ্তাহের ৬ষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১
ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা উপরের উত্তরটি তোমাদের কেমন লাগলো। নিশ্চয় ভালো লেগেছে। যদি কোনো যায়গায় কোনো ভূল দেখতে পাও তবে আমাদের কমেন্ট করে জানাও। তোমাদের নির্ভূল ও মানসম্মত নমুনা উত্তর লিখে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ। আশা করি তোমরা অনেক উপকৃত হও। তোমরা কি ১৫ সপ্তাহের উত্তরগুলো তাড়াতাড়ি পেতে চাও? তাহলে আমাদের নিচের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখ।
৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট কৃষি শিক্ষা সমাধান
আমাদের সাথে থাকতে আমাদের ফেজবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখো। অথবা আমাদের এসাইনমেন্ট ফেজবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারো। এসাইনমেন্টগুলো ভিডিও আকারে পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যনেলটি সাবসক্রাইব কর।

আমাদের ইউটিউব লিংক
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391
সতর্কতাঃ প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা তোমরা কি উত্তরগুলে হুবুহু কপি করো। যদি এমনটি করে থাকো তবে আজ থেকেই বাদ দিয়ে দাও। কারণ তোমাদের বিদ্যালয়ের স্যারদের মাধ্যমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বলে দেওয়া হয়েছে যে কেউ অ্যাসাইনমেন্ট নকল করলে তার অ্যাসাইনমেন্ট বাতিল হয়ে যাবে। তাই তোমরা হুবুহু নকল না করে একটু পরিবর্তন করে লিখবে। অর্থাৎ নমুনা উত্তরের সাহয্য নিয়ে নিজেরাই উত্তর লিখবে।