২০২২ সালের এসএসসি হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ

২০২২ সালের এসএসসি হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ
২০২২ সালের এসএসসি হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ

২০২২ সালের এসএসসি হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ সকলকে স্বাগতম।  আজকে আমি হিসাববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট 2 নিয়ে আলোচনা করব।

{tocify} $title={Table of Contents}

তোমরা যারা 2022 সালের বাণিজ্য বিভাগের এসএসসি পরীক্ষার্থী তাদের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর আবারও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু করেছে। 

২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট উত্তর হিসাব বিজ্ঞান নবম সপ্তাহ

তারই ধারাবাহিকতায় 2021 সালের অনুযায়ী এটা তোমাদের নবম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট।  নবম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টে তোমাদের দুটি বিষয়ে লিখতে হবে একটি হচ্ছে  সাধারণ গণিত ও অন্যটি হিসাববিজ্ঞান।

তো চলো শিক্ষার্থী বন্ধুরা আমরা প্রথমে তোমাদের নবম সপ্তাহের হিসাববিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট 2022 এর প্রশ্ন টি  দেখে নিই

হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ প্রশ্ন

অ্যাসাইনমেন্ট বিষয়ঃ

“হিসাবরক্ষণে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রয়োগ”
সহায়ক তথ্য:
মেসার্স জয়া এন্ড কোং-এর কতিপয় লেনদেন নিম্নরুপ
১। মিসেস জয়া মুখার্জি ব্যবসায়ে আরো ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করলেন।
২। অফিসের জন্য একটি কম্পিউটার ক্রয় করা হলো ২৫,০০০ টাকা।
৩। অফিস ভাড়া তিন মাসের অগ্রিম প্রদান করা হলো ১৮,০০০ টাকা।
৪। রাজনের নিকট বিক্রয় করা হলো ২৫,০০০টাকা।
৫। ব্যাংক চার্জ ধার্য করল ১,৫০০ টাকা।
$ads={1}
৬। ব্যাংক হতে উত্তোলন করা হলো ৬,০০০ টাকা।
৭। ধারে পণ্য ক্রয় করা হলো ১৫,০০০ টাকা।
৮। মজুরি প্রদান করা হলো ৩,০০০ টাকা।
৯। ক্রয় ফেরত ২,০০০ টাকা।
১০। ব্যাংকে জমা দেওয়া হলো ১০,০০০ টাকা।

শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ প্রশ্ন থেকে দেখে নাও

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি)ঃ

  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির ধারণা
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
  • ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়মাবলি (পাঠ্য বইয়ের আলোকে)
  • সংযুক্ত লেনদেনগুলোর ডেবিট ও ক্রেডিট পক্ষ কারণসহ নির্ণয় করা (পাঠ্য বইয়ের ৫৫ পৃষ্ঠার আলোকে) 

মূল্যায়ন নির্দেশনা (রুব্রিক্স)
হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ প্রশ্ন

হিসাব বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ৯ম সপ্তাহ প্রশ্ন


উপরের হিসাব বিজ্ঞান নবম সপ্তাহ প্রশ্ন দেখে আমরা বুঝতে পারছি যে আমাদের কি কি লিখতে হবে তবু আমরা দেখিনি আমাদের কোন কোন  ধাপগুলো গুরুত্বের সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির ধারণা
  • দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য
  • বিভিন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়ম
  • লেনদেনের ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়


৯ম সপ্তাহ ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার এসাইনমেন্ট হিসাব বিজ্ঞান উত্তর

অ্যাসাইনমেন্ট শুরু

“হিসাবরক্ষণে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির প্রয়োগ”

দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির ধারণা:

১৪৯৪ ব্রিস্টাব্দে ইতালীর বিখ্যাত গণিতবিদ লুকা প্যাসিওলি আর্থিক ঘটনাবলি সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ করার যে পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন, তাই দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি নামে পরিচিত । এই পদ্ধতিতে প্রতিটি লেনদেনের দুই বা ততোধিক হিসাবখাত থাকে । এই হিসাবখাতপ্রলো দ্বৈত স্বত্বায় পিপিবন্ধ করা হয় । এর একটি হলো ডেবিট এফং অপরটি হলো ক্রেডিট । প্রতিটি ডেবিট লিখনের জন্য সমান অর্থের ক্রেডিট লিখন হবে।

উদাহরণস্বরূপ: অফিস কর্মচারীকে বেতন বাবদ ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হলো । এই লেনদেনটিকে হিসাব বইতে দুতরফা দাখিলা পদ্ধতি অনুসারে লিপিবদ্ধ করতে হলে প্রথমে এর মধ্যস্থিত দুটি পক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। পক্ষ দুটি হচ্ছে- 

  • ক. বেতন হিসাব 
  • খ. নগদান হিসাব

যেহেতু বেতন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের একটি ব্যয়, সেহেতু ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বেতন হিসাব ১০,০০০ টাকা ডেবিট হবে । আবার যেহেতু বেতন প্রদানের ফলে নগদ টাকা ব্যবসায় হতে চলে গিয়েছে, সেহেতু নগদ তথা সম্পদ স্থাস পাওয়াতে নগদান হিসাব ১০,০০০ টাকা ক্রেডিট হবে।

এই পদ্ধতিটিই হচ্ছে দূতরফা দাখিলা পদ্ধতির মূলনীতি ।

$ads={1}

দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য:

দুতরফা দাখিলা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্যসমূহ নি্নব্ধপ:

১। দ্বৈত সত্তা: প্রতিটি লেনদেনে কমপক্ষে দুটি হিসাব থাকে । ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করার পূর্বে প্রতিটি লেনদেনে জড়িত হিসাবখাতসমূহ বের করে তাদের প্রত্যেকটি কোন শ্রেণির হিসাব তা নিরূপণ করতে হয়। তারপর দুতরফা দাখিলা অনুযারী প্রতিটি হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয় করতে হয়।

২। দাতা ও গ্রহীতা: প্রতিটি লেনদেনে সুবিধা গ্রহণকারী গ্রহীতা ও সুবিধা প্রদানকারী দাতা হিসেবে কাজ করে।

৩। ডেবিট ও ক্রেডিট করা: সুবিধা গ্রহণকারী হিসাবকে ভেবিট ও সুবিধা প্রদানকারী হিসাবকে ক্রেডিট করা হয়।

৪। সমান অঙ্কের আদান-প্রদান: প্রতিটি লেনদেনের ডেবিট ও ক্রেডিট টাকার পরিমাণ সমান হবে।

৫। সামথিক ফলাফল: যেহেতু প্রতিটি লেনদেন ডেবিট-ক্রেডিট বিশ্লেষণ করে সমাপরিমাণ টাকার অঙ্ক ছারা লিপিবদ্ধ করা হয়, সেহেতু সামগ্রিক ফলাফল নির্ণয় সহজ হয়। মোট

লেনদেনের ডেবিট দিকের যোগফল ত্রেডিট দিকের যোগফলের সমান হয়।

বিভিন্ন হিসাবের ডেবিট ও ক্রেডিট নির্ণয়ের নিয়ম:

১। সম্পদ: সম্পদ বৃদ্ধি পেলে ডেবিট ও ত্রাস পেলে ক্রেডিট হয়। যেমন-আসবাবপত্র ক্রয় করলে সম্পদ বৃদ্ধি এবং বিক্রয় করলে হাস পায়।

২। দায়: সম্পদের সাথে দায়ের সম্পর্ক বিপরীত । তাই দায় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট ও হ্রাস পেলে ডেবিট হয়। যেমন-ব্যাংক থেকে খণ নিলে দায় বৃদ্ধি পায় আবার খণের বিপরীতে কিস্তি পরিশোধ করলে দায় হ্রাস পায়।

$ads={1}

৩। মালিকানা স্বত্ব: মালিকানা স্বত্ব প্রতিষ্ঠানের জন্য এক ধরনের দায়। কারণ হিসাববিজ্ঞানের নীতি অনুযায়ী মালিক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান আলাদা সত্তা। ফলে মালিকানা স্বত্ব বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট ও হাস পেলে ডেবিট ।

৪ । রেভিনিউ বা আয়: ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন প্রকৃতপক্ষে মুনাফা হচ্ছে রেভিনিউ বা আয়ের এ অংশ, যা ব্যয় অপেক্ষা অধিক । রেভিনিউ বা আয় মালিকানা স্বত্বের বৃদ্ধি ঘটায়। তাই রেভিনিউ বা আয় বৃদ্ধি পেলে ক্রেডিট এক স্বাস পেলে ডেবিট হয়।

৫। ব্যয়: আয় যেহেতু মালিকানা স্বত্তের বৃদ্ধি ঘটায়, তাই ব্যয়ের ফলে মালিকানা স্বত্ের হাস ঘটবে । তাই ব্যয় বৃদ্ধি পেলে ডেবিট এবং হ্রাস পেলে ক্রেডিট হয়।

লেনদেনের ডেবিট ক্রেডিট নির্ণয়

অ্যাসাইমেন্ট শেষ


আমাদের ইউটিউব লিংক
https://www.youtube.com/channel/UCea_DqYt9NegZgE5A-mdIag
ফেজবুক পেজ (সমস্যা ও সমাধান)
https://web.facebook.com/shomadhan.net
assignment all class (6-9)📝📝
https://web.facebook.com/groups/287269229272391



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন