প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ ব্যায় নির্বাহ কমিটি গঠন

প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ ব্যায় নির্বাহ কমিটি গঠন


চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির অন্যতম লক্ষ্য হলো বিদ্যালয় গমনোপযোগী শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি এবং প্রাথমিক শিক্ষাচক্র সমাপনের মাধ্যমে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ । এজন্য বিদ্যালয়ে গমনের প্রস্তুতি এবং শিশুদের ঝরে পড়া রোধে “প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা” পরিচালনা একটি অগ্রাধিকারপূর্ণ কার্যক্রম । সুষ্ঠুভাবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি পরিচালনার লক্ষ্যে ইতঃমধ্যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য শিখন-শেখানো সামগ্রী সরবরাহ এবং শিক্ষক/কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এতদ্যতীত, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পাঠদান আকর্ষণীয় ও আনন্দদায়ক করতে শিখন-শেখানো সামী ((Teaching-Learning Materials তৈরি/ক্রয় এবং শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিদ্যালয় প্রতি ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকা বরাদ্দ ইতোমধ্যে অর্থ বিভাগ হতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা / থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।

ক. ছাড়কৃত অর্থের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিখন-শেখানো সামহী ক্রয়/তৈরি/শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে কমিটি গঠনপূর্বক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।


প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ কমিটি নিম্নরূপঃ

১। আহ্বায়ক :     বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি -১ জন
২। সদস্যবৃন্দ :     শিক্ষক-অভিভাবক সমিতির সভাপতি -১ জন

প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক (প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষককে  অগ্রাধিকার দিতে হবে) (জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক না থাকলে যিনি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে পাঠদান করেন তিনি সদস্য হবেন।) -১ জন

৩। সদস্য সচিব 8 প্রধান শিক্ষক -১ জন

খ. প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে উপজেলা/থানার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা অনুযায়ী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার বরাবর অর্থ ছাড় করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার ছাড়কৃত অর্থ বিদ্যালয়ের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করবেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে শিখন-শেখানো সামগ্রী তৈরি/ক্রয়পূর্বক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বরাদ্দ দিয়ে শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ অগ্রাধিকার দিতে হবে।

গ. এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম কমিটির সভায় আলোচনা ও সভার লিখিত রেজুলেশন তৈরি করে উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের নিকট বিল/ভাউচার দাখিল করবেন। উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার হিসাব রক্ষণ অফিসে বিল দাখিল করে অর্থ উত্তোলন করবেন এবং দ্রততার সাথে যৌথ ব্যাংক হিসাবে তা স্থানান্তর করবেন। এক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই বেয়ারার বা ওপেন চেক ইস্যু করা যাবে না। অর্থ স্থানান্তর সংক্রান্ত ব্যাংক স্টেটমেন্টের কপিসহ একটি প্রত্যয়ণপত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রাক-প্রাথমিক সেলে ই-মেইল  dpepreprimary@gmail.com এবং ডাকযোগে প্রেরণ করবেন।

ঘ. সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে শিখন-শেখানো সামত্রী তৈরি/ক্রয়পূর্বক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ করা হয়েছে কিনা তা সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিদর্শনের মাধ্যমে নিশ্চিত করবেন;

উ. উপজেলা/থানা শিক্ষা কর্মকর্তা শিখন-শেখানো সামগ্রী তৈরি/ক্রয় পূর্বক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ সম্পর্কিত এ নির্দেশনা প্রাপ্তির অনধিক ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ফটোকপি করে প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট প্রেরণ নিশ্চিত করবেন।

২।  ছাড়কৃত অর্থের মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দ্বারা “প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার শ্রেণিকক্ষ ও উপকরণ বিন্যাস সজ্জা এবং ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্দেশিকা” মতে শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ বিষয়টি অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৩। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dpe.gov.bd শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ বিষয়ের ম্যানুয়াল পাওয়া যাবে ।

৪। কোনো অবস্থাতেই এ অর্থ দিয়ে অন্য শ্রেণির বা বিদ্যালয়ের অন্য কোন সামগ্র/উপকরণ ক্রয়/তৈরি করা যাবে না।

৫। কোনো প্রকার আর্থিক অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/ প্রধান শিক্ষক দায়ী থাকবেন।

৬। যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু হয়নি সে সকল বিদ্যালয়ে অর্থ ছাড় করা যাবে না।

৭। বরাদ্দকৃত অর্থ ৩০ মে ২০২৩ তারিখের মধ্যে ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অর্থ ও সংগ্রহ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আর্থিক নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৮। প্রাথমিক শিক্ষার কর্মকর্তাগণ বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য শিখন-শেখানো সামগ্রীগুলো নির্দেশনা মোতাবেক তৈরি/ ক্রয় করে শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ করা হচ্ছে কিনা তা পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করবেন।

৯।  প্রাক-প্রাথমিকের জন্য বরাদকৃত অর্থ স্লিপ পরিকল্পনায় অর্তভুক্ত করতে হবে।

১০। যেসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনের কম সেসব বিদ্যালয়ে অর্থ ছাড় করা হবে না।

আরো পড়ুনঃ
প্রাক প্রাথমিক শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণ কমিটি (1)



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন